রংপুরে তীব্র ক্ষোভ
ড. রাজিবুল জানান, রংপুর মেডিক্যালের ভাইস প্রিন্সিপালের কক্ষে এসপি সিদ্দিক, মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি মারুফ এবং স্বাচিপ নেতা ড. চন্দন তাকে মাথায় আঘাতজনিত মৃত্যুর তথ্য যুক্ত করতে চাপ দেন। এমনকি বিদেশ ভ্রমণ ও পারিবারিক সুযোগ-সুবিধার প্রলোভনও দেয়া হয়। তবে তিনি সত্য বিকৃত না করে মূল রিপোর্টে শরীরে পাওয়া
আবু সাঈদকে গুলি করার দুটি ভিডিও ট্রাইব্যুনালে প্রদর্শন করা হয়। এ সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন মনিটরে ছেলেকে গুলির দৃশ্যের ভিডিও দেখে বারবার চোখ মুছছিলেন।
ফরহাদ বলেন, কফিন ক্রয়ের ব্যাপারে সহযোগিতা করেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলোয়ার ভাই এবং জামায়াতের শাহবাগ থানার আমির, ছাত্রশিবির ঢাবি শাখার সাবেক সভাপতি শাহ মাহফুজুল হক। চারদিকে পুলিশ ও ছাত্রলীগের বাধার মুখেও আমাদের টিম কফিনগুলো ক্যাম্পাসে কয়েক ধাপে অ্যাম্বুলেন্সে বহন করে প্রবেশ করে।
কষ্ট করে লেখাপড়া করে আমার ছেলে আবু সাঈদ সফল হয়েছে। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে দুই হাত তুলে বুক চিড়িয়ে পুলিশের সামনে দাঁড়িয়ে নিজের জীবনকে বিসর্জন দিয়েছে।